আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারও মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বলে ক্ষমতাসীন অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দাবি করেছে। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভোট দেওয়ার বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ না দিয়ে গত রবিবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক দশক সামরিক শাসনে থাকা দেশটিতে পাঁচ বছর আগে হওয়া প্রথম নির্বাচনেও রোহিঙ্গাদের ভোট প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়েছিল।
তথ্যপ্রবাহে ব্যাপক বিধি-নিষেধ থাকায় মিয়ানমারে নির্বাচনের সার্বিক চিত্র বাইরে পাওয়ার সুযোগ সীমিত। তবে থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল এনএলডি সরকার গঠন করার মতো যথেষ্ট সংসদীয় আসনে জয় লাভ করেছে বলে গতকাল সোমবার দাবি করেছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হয়নি তখনও।
এনএলডি মুখপাত্র মিয়ো নিয়ন্ত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ৩২২টি সংসদীয় আসন তারা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। জনগণ ও দলের জন্য এটি একটি আশাব্যঞ্জক ফল।’ তবে নির্বাচন কমিশন গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেনি।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের গণহত্যায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়েছেন নোবেল জয়ী নেত্রী সু চি। জাতিসংঘেও তিনি সমালোচিত হন। আন্তর্জাতিক স্তরে তার নোবেল ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি উঠেছে বারবার। এর আগে, টানা ৫০ বছর সেনা শাসনে থাকার পর মিয়ানমারে ২০১৫ সালে প্রথম গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হয়। এবছর সু চি ও তার দল এনএলডি নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় বসে।
সূত্র : দ্য জাপান টাইমস ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।